প্রায়শ জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

প্রশ্ন : তথ্যআপা প্রকল্পের উদ্দেশ্য কি?
উত্তর :
 গ্রামীণ সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার এবং তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবাপ্রদানের মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন।

প্রশ্ন : তথ্যআপা প্রকল্পের মেয়াদকাল কত?
উত্তর :
 এপ্রিল ২০১৭ থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত। 

প্রশ্ন : তথ্যআপা প্রকল্পের মোট জনবল কত?
উত্তর :
প্রকল্পের মোট জনবল ২৪৮৪ জন। প্রধান কার্যালয়ে ২৪ জন এবং ৪৯২টি তথ্যকেন্দ্রে ২৪৬০ জন।

প্রশ্ন : তথ্যআপা প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যসমূহ কি কি?
উত্তর :   
            (১) বাংলাদেশের ৪৯২টি উপজেলায় তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা;
            (২) তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে ০১ (এক) কোটি গ্রামীণ মহিলাদের উদ্বুদ্ধকরণ এবং          
                 তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করা;
            (৩) তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে ই-কমার্স সহায়তা প্রদান;
            (৪) ই-লার্নিং এর মাধ্যমে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দল গঠন করা;
            (৫) ওয়েবপোর্টাল, তথ্যভান্ডার, তথ্যআপা আইপিটিভির উন্নয়ন করা।

প্রশ্ন : তথ্যআপা প্রকল্প কর্তৃক কি কি সেবা প্রদান করা হয়?
উত্তর : তথ্যআপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের সকল উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে মহিলাদের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে নিম্নোক্ত সেবাসমূহ প্রদান করা হয়:

  • তথ্যপ্রযক্তিভিত্তিক সেবা প্রদান।  যেমন, সরকারি বিভিন্ন সেবার আবেদন অনলাইনে পূরণ;
  • চাকুরির আবেদনপত্র পূরণ;
  • ভর্তি পরীক্ষার ফরম পূরণ;
  • বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল অবহিতকরণ;
  • ইমেইল, ম্যাসেঞ্জার, স্কাইপির মাধ্যমে যোগাযোগত;
  • কৃষি, শিক্ষা, ব্যবসা ইত্যাদি সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান;
  • আইনী সহায়তার পরামর্শ প্রদান;
  • ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা
  • ওজন পরীক্ষা
  • ডায়াবেটিস পরীক্ষা
  • রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ পরীক্ষা
  • শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা
  • গ্রামীণ নারীদের উৎপাদিত ও সংগৃহীত পণ্য বিক্রয়ের জন্য www.laalsobuj.com মার্কেটপ্লেস পরিচালনা।

প্রশ্ন : তথ্যআপা প্রকল্প কিভাবে সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের সেবা প্রদান করে ?
উত্তর :
বাংলাদেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রত্যেকটিতে প্রকল্পের আওতায় একটি করে তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি তথ্যকেন্দ্রে ০১ জন তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও ০২ জন তথ্যসেবা সহকারী তথ্যসেবা প্রদানের কাজে নিয়োজিত আছেন। তারা তথ্যকেন্দ্র থেকে, ডোর টু ডোর পদ্ধতিতে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে, উঠান বৈঠকে মুক্ত আলোচনা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রামীণ সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের সেবা প্রদান করে থাকেন। 

প্রশ্ন : ডায়াবেটিস পরীক্ষা, ব্লাডপ্রেসার পরীক্ষার জন্য সেবাগ্রহীতাকে কোন অর্থ পরিশোধ করতে হয় কি ?
উত্তর :
তথ্যআপা প্রকল্পের সকল সেবা বিনামূল্যে সেবাপ্রত্যাশি নারীদেরকে প্রদান করা হয়। প্রকল্পের কোন সেবার জন্য সেবাগ্রহীতাকে কোন অর্থ ব্যয় করতে হয়না।

প্রশ্ন : তথ্যআপা প্রকল্পের  প্রধান কার্যালয়ের কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের  সাথে যোগাযোগের মাধ্যম কি?
উত্তর :   নিচের লিংকে প্রবেশ করলে প্রধান কার্যালয়ের কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের  সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
লিংকঃ প্রকল্পের প্রধান কার্যালয়ের জনবল

প্রশ্ন : তথ্যআপা প্রকল্পে চাকুরী পেতে হলে কি  কি যোগ্যতা প্রয়োজন?
উত্তর :
এ প্রকল্পে বিভিন্ন পদে চাকুরী প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রয়োজন। এ প্রকল্পের চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি   http://erecruitment.bcc.gov.bd/ তে প্রচার করা হয়। নিচে একটি বিজ্ঞপ্তি লিংক দেওয়া হল। সেখানে পদের নামের বিপরীতে প্রয়োজনীয় যোগ্যতার কথা উল্লেখ করা হল। লিংকঃ তথ্য আপা প্রকল্পে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি .pdf

প্রশ্ন : তথ্যআপা প্রকল্পের প্রধান কার্যালয় থেকে কি ভাবে ৪৯২টি তথ্যকেন্দ্রকে নিয়ন্ত্রন করা হয়?
উত্তর :
প্রকল্পের নিজস্ব মেইলিং সিস্টেম (https://mail.totthoapa.gov.bd/) যা বাংলাদেশ জাতীয় ডাটা সেন্টার কর্তৃক পরিচালিত হয় , প্রকল্পের MIS (http://mis.totthoapa.gov.bd/) এবং প্রতিটি কেন্দ্রে প্রেরিত ৩টি পোস্ট পেইড সিমের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ৪৯২টি তথ্যকেন্দ্রের জনবলকে নিয়ন্ত্রন করা হয়। তছাড়া MIS এর পাশাপাশি গুগল ফর্মের মাধ্যমেও প্রতিটি কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সময়ে তথ্য,উপাত্ত ও স্থির চিত্র সংগ্রহ করা হয়। 

প্রশ্ন : লালসবুজ মার্কেটপ্লেসে কারা ব্যবসা করতে পারবেন?
উত্তর : যে কোন গ্রামীণ নারী তথ্যআপাদের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে তাদের উৎপাদিত ও সংগৃহীত পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন। 

প্রশ্ন : যাদের স্মার্টফোন নেই তারা কিভাবে লালসবুজ মার্কেটপ্লেসে ব্যবসা করতে পারবেন?
উত্তর : যে সমস্ত উদ্যোক্তাদের স্মার্টফোন নেই তারা তাদের পণ্য তথ্যকেন্দ্রে এনে অথবা তথ্যআপা ডোর টু ডোর সেবায় তাদের এলাকায় গেলে তখন তথ্যআপার মাধ্যমে তারা পণ্য আপলোড করবেন এবং বর্ণনা লিপিবদ্ধ করবেন। পণ্যের ক্রয়াদেশ এলে তথ্যআপার সহায়তা নিয়ে অর্ডারকৃত পণ্য সরবরাহ করতে পারবেন। পণ্য আপলোডসহ ই-কমার্স বিষয়ক সামগ্রিক সহায়তা প্রদান করবেন তথ্যআপারা। 

প্রশ্ন : লালসবুজ মার্কেটপ্লেসে কি কি পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা হয়?
উত্তর : গ্রামীণ জনপদে উৎপাদিত পণ্য বিশেষত দেশের বিভিন্ন এলাকার ঐতিহ্যবাহী পণ্য লালসবুজ ডটকম মার্কেটপ্লেসে ক্রয় বিক্রয় করা হয়। কোন বিদেশি পণ্য বা আধুনিক টেকনোলজিক্যাল পণ্য এ মার্কেটপ্লেসে ক্রয় বিক্রয় করা হয়না।

প্রশ্ন : লালসবুজ মার্কেটপ্লেসে উদ্যোক্তা হিসেবে নিবন্ধিত হতে কোন জামানতের প্রয়োজনীয়তা আছে কি?
উত্তর : লালসবুজ মার্কেটপ্লেসে উদ্যোক্তা হবার জন্য কোন জামানতের প্রয়োজন নেই।

প্রশ্ন : প্রকল্পের মেয়াদ শেষে লালসবুজ মার্কেটপ্লেস চালু থাকবে কি না? 
উত্তর :
লালসবুজ মার্কেটপ্লেসকে স্থায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মার্কেটপ্লেসটি পরিচালিত হবে।